প্রতারক ভূয়া সিআইপি ফারুক আটকের বিষয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বুধবার চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে চট্টগ্রাম সিএমপির এক অনুষ্ঠানে ছিল ওটার এক পাশে লবিতে বসা ছিল এই প্রতারক ফারুকের আচরণ সন্দেহ জনক হলে তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই। এক পর্যায়ে তার প্রতারণা তথ্য বেড়িয়ে আসতে থাকে, কুমিল্লা জেলাতে একবার ভূয়া ডিআইজি সেজে প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় শুধু তাই নয় দূবাই প্রবাসী এক মহিলার কাছ থেকে প্রতারণা করে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক ফারুক। পরে দূবাই প্রবাসী ঐ মহিলা চট্টগ্রাম তার বাড়ীতে এসে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানায় মামলা দিলে তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ৪ মাস জেল খেটে বের হয়ে। জেল থেকে বেরিয়ে এবার ভূয়া সিআইপি কার্ড বানিয়ে প্রতারণা শুরু করেন। আটক করার সময় তার কাছ থেকে একটি ভূয়া সিআইপি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের এডিসি পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ফারুক একজন বড় ধরনের প্রতাক আগেরবার গ্রেফতার করার সময় ফারুকের কাছ থেকে সরকারি লোগো এবং প্রবাসীকল্যাণ সচিব নমিতা হালদারের সই করা একটি সি আইপি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এই ফারুক ফেনীতে ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে আসছিল।
এ ছাড়া ভূয়া সিআইপি কার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দর থেকে প্রাপ্ত সুবিধা নিয়ে একাধিকবার বিদেশে গেছে। ইমিগ্রেশনে সেই কার্ড ভূয়া শনাক্ত হওয়ার পর তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানার এসআই মোমিনুল হাসান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।