আজ (৯ জাুয়ারি) শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্বামীর বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় কসবা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। স্বামী ও শ্বশুড়ির নির্যাতন থেকে রেহায় পেতেই নববধু আত্নহত্যা করেছে বলে জোর গুঞ্জন চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বুদু মিয়া জানান, সকালে জুয়েল রানার বাড়িতে হৈচৈ শুনে গিয়ে দেখি শিখা খাতুনের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে কসবা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবাবিক কাজ কর্ম নিয়ে শ্বাশুড়ির সাথে শুক্রবার বিকেলে ঝগড়া হয় শিখা খাতুন । এ নিয়ে অভিমানে শনিবার সকালে সে বসত ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় কয়েজন জানান, কসবা গ্রামের জুয়েল রানা গত সাত মাস পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শিখা খাতুনে সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শিখা খাতুনের উপর নানা কারণে অত্যাচার করে আসছিল তার স্বামী জুয়েল রানা ও শ্বাশুড়ি। এনিয়ে অভিমানে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে বলে মনে হচ্ছে।
কসবা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, মরেদহ উদ্ধার করা হয়েছে। মারা যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।