শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারায় রয়েছে। দেশের প্রতিটি জনপদ আজ উন্নয়নের আলোয় ঝলমল করছে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এদেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের সেই বিষদাঁত আজ ভেঙে দেয়া হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ার গড়তে আওয়ামী লীগ প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায়।
সেতুনমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। প্রযুক্তির যেমন সুফলতা রয়েছে তেমনি ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে।
তারণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার করা হবে। ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজও হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতি আজ লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেবাখাত বদলে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ সুবিধা এখন বিশ্বমানের।
রাজনাতির ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। অপরদিকে চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাত চলে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাজনীতি শুরু হয়েছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি এবং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন।
যারা এখনো তরুণদের পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’র সদস্যরা।