মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার এক কিশোরীকে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাসহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী কিশোরী ৪ নারীসহ ৭ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর মঙ্গলবার রাতেই ধর্ষকসহ পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অপরাধে ৪ জনকে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরী ওই উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার আসামিরা হলেন- শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), পারভিন বেগম (৩৫), শিল্পী বেগম (৩৬), আলী হোসেন (৩৮), দেলো পাটোয়ারী (৩০) ও তায়েবা বেগম (৩০)। পরে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দেলো পাটায়ারী আর পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তার আত্মীয় শারমিন, শিউলি ও শিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামি ধর্ষক আলী হোসেন, পারভিন বেগম ও তায়েবা বেগম পলাতক রয়েছেন। আটকদের বাড়ি মোংলার কাইনমারী ও সিগনাল টাওয়ার এলাকায়।
আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আটককৃতদের বাগেরহাট আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১১ জানুয়ারি কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসেন। সর্বশেষ তাকে দেলো পাটোয়ারী (৩০) ধর্ষণ করেন। এর আগেও বাড়িতে রেখে এবং বিভিন্ন বাড়িতে নিয়ে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো হয়।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, মোংলা পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার ওই কিশোরীকে ৬ মাস আগে তার আত্মীয় শিউলি বেগম ও শারমিন বেগম কাজের কথা বলে শরণখোলার ধানসাগর এলাকায় নিয়ে যান। এরপর সেখানে ওই কিশোরীকে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন তারা।