চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চারুলিয়া গ্রামে ২ মাসের কন্যা সন্তান সহ ৮ বছরের আরেকটি কন্যা সন্তান রেখে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে সাধারন ভাবে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে পার পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
বিশ্বস্তসূত্রে, জানা গেছে চারুলিয়া গ্রামের সাফিনের কন্যা সুফিয়ার সাথে বিবাহ হয় একই গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে মাজেদুলের। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।পরে আবারও ছেলে সন্তানের আশায় এ দম্পতি বাচ্চা নিলে গত ২ মাস পূর্বে আবারো তার কোল জুড়ে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
পরপর দুইটা কন্যা সন্তান হওয়ায় এতে করেই চটে যায় মাজেদুল ও তার বাবা মা।তারা বিভিন্ন সময়ে সুফিয়াকে নানান ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
গতকাল রোববার দুপুরের পরে নিজ ঘরের ভিতর গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুফিয়া।
পরে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।
সুফিয়া মারা যাবার পরে তার পরিবারের লোকজনকে দ্রুত ম্যানেজ করে ফেলে সুচতুর মাজেদ ও তার পরিবারের লোকজন।সুফিয়ার পরিবারও লাশের ময়নাতদন্ত হবে ভেবে ও ছোট বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে আপোষ মিমাংসার জন্য বসে পড়ে।
এ বিষয়ে উভয়পক্ষ মুখে কুলুপ এঁটে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকেই বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলায় যেখানেই কন্যা সন্তানের জন্ম হচ্ছে সেখানেই চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম উপহার পাঠাচ্ছেন। সেই জেলায় কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় নানান কুটুক্তি নির্যাতন সহ্য করে যদি ২ মাসের শিশুকন্যা রেখে মাকে মরতে হয় আর অপরাধীরা পার পেয়ে যায় তবে এর চাইতে দু:খের আর কিছু থাকবেনা।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নিয়ে ২ মাসের শিশুকন্যা রেখে মায়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী প্ররোচিত ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে সর্ব্বোচ শাস্তির দাবী করেছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষ বসে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছিল বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ:খালেকের সাথে কথা বললে তিনি সুফিয়ার আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের টিম গিয়েছে। সব কিছু জেনে তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।