সারা দেশে যখন নদী,খাল দখলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এমন সময়
নেত্রকোণার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে শত বছরের পুরনো বৈশাখী খালে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে দখলের মহোৎসব চলছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রুবেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে গোবিন্দশ্রী মৌজায় খতিয়ান নং-০১, আর.ও. আর দাগ নং- ৩১৯৪/বি.আর.এস নং-৪০৬৮ দাগে গোবিন্দশ্রী বাজারের দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে বয়ে যাওয়া শত বছরের পুরনো খাল ।
বর্তমানে খালের উপর দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সরকারি অনুদানে দুইটি ব্রীজ রয়েছে। কিন্তু একই গ্রামের শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে বুলবুল মিয়া, খোকন মিয়া, লিমন মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, সুজাত তালুকদার, রোমন মিয়া ও মোহন মিয়া সহ কিছু অসাধু লোকজন মিলে অবৈধভাবে মাটি ফেলে খালটি ভরাটের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও জানা যায়, বিগত ০৮/০৬ /২০০৬ সালে মোঃ শাহজাহান মিয়া ভরাট করার জন্য খালটি বন্দোবস্ত আনেন। পরে তদন্তের প্রতিবেদনে ০৮/০২/২০০৭ সালে মদন উপজেলা পরিষদে উপজেলা চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে আলাপ আলোচনা করে এই বন্দোবস্তটি বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে শাহজাহান মিয়া আবারো একটি বন্দোবস্ত করেন। এই বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গেলে, মনিরুজ্জামান খান, শেখুল মীর, মোঃ সামছুল,
ছালমা আক্তার ও নিলুফা আক্তার সহ গ্রামবাসীরা জানান শত বছরের এই পুরুনো বেশাখী খাল বর্ষাকালে পুরো গ্রামের পানি নামে হাওরে।
তখন এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করে, কৃষকরা জমিতে পানিসেচ দেয়, গরু-ছাগল গোসল করানো সহ সারা গ্রামের লোকজন গৃহস্থালি কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। এখন যদি এই অসাধু ব্যক্তিরা বৈশাখী খালটি অবৈধভাবে মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে তাহলে আমরা গ্রামবাসী মহা বিপদে পরে যাবো।
খালে মাটি ফেলার সময় আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের মারপিট করে। এখন আমরা অপহারক হয়ে অবৈধভাবে মাটি ফেলে ভরাটের হাত থেকে খালটিকে বাঁচাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈশাখী খালে আপাতত মাটি ফেলা বন্ধ রয়েছে। যারা এই মাটি ফেলে খাল ভরাটের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ পক্রিয়াধীন আছে।