মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে গোপন সখ্য রাখায় বিএনপি ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি ভাস্কর্যের অবমাননাসহ দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং অপকর্মের ইন্ধন জোগাচ্ছে।
সচিবালয়ে আজ রোববার নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে গোপন সখ্য রাখায় বিএনপি ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাকে সত্য বলার অপরাধে শোকজ করা দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল করেন। তিনি বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক। যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং তাদের নেতৃত্ব বহুধাবিভক্ত।
মেজর (অব.) হাফিজ আহমদকে ইঙ্গিত করা দলের ভেতরের মহলটি বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারীদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়েছে, দলীয়ভাবে তারা ভাস্কর্যের অবমাননাসহ দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং অপকর্মের ইন্ধন জোগাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান যখন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি-বাণিজ্য এবং মনোনয়ন–বাণিজ্যের অভিযোগ আনেন, তখন সে দলের কর্মী ও জনগণের কাছে দলীয় নেতৃত্বের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
সুযোগ পেলেই বিএনপি তাদের যেকোনো নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে পারে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, তেমনি বিএনপিও তাদের অপরাজনীতি এখন আর ঢেকে রাখতে পারছে না।